বোদাথেকেপুর্ব ১৫ কি: মি: দুরর্ত্বে বদেশ্বরী বাড়ি মন্দির
পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলাটি ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের ভারত বর্ষের পশ্চিম বঙ্গের জলপাই গুড়ি জেলার অন্তভূর্ক্ত থানা ছিল।তৎকালিন জলপাইগুড়ি জেলার প্রশাসনে অন্তভূক্ত হলেও কোচ বিহার মহারাজার জমিদারীর অন্তভূক্ত ছিল।দেশ বিভাগের পর থানাটি পাকিস্থানের অন্তভূর্ক্ত হয়।বিংশ শতাব্দীর একেবারে গোড়ার দিকে কোচবিহারের মহারাজা শ্রীনৃপেন্দ্র নারায়ন ভূপ বাহাদুর বোদা জগবন্ধু ঠাঁকুর বাড়ি মন্দিরটি মহারাজার ম্যানেজার খাজনা আদায়ের জন্য উপজেলার অতীত ইতিহাস থেকে জানা যায় হাতির পিঠে চড়ে রওনা হন।হাতিটি দেবীগঞ্জ হতে ১৪ কি:মি: উত্তর পশ্চিমে শাল ডাংগায় নিভূত জঙ্গল দিয়ে উপন্থিত হলে হাতিটি চঞ্চল হয়ে উঠে এবং হাতিটির পথ চলা থেমে যায়।যেখানে হাতিটি থেমে ছিল কাছেই ছিল একটি এক গাদা ভষ্ম (ছাঁই)।হাতিটি তার শুর দিয়ে স্তুপীকৃত ছাঁই সরাতে সুরু করে,ছাই সরাতে গিয়ে তার নিচের থেকে একটি পিতলের দূর্গামূর্তি (দশভূজা) পাওয়া যায়।ম্যানেজার ঘটনা স্থল হতে দেবীগঞ্জে ফিরে আসেন এবং মহারাজাকে মূর্তি লাভের ঘটনার বিবরণ অবহিত করেন।মূর্তির কিয়দংশ ভাংগা ছিল।মহারাজা মূর্তিটি কাশি থেকে মেরামত করে আনার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন ও দেবীগঞ্জে মূর্তিটি স্থাপন করার জন্য একটি মন্দির নির্মান করার নির্দেশ দেন।মহারাজার কথা অনুযায়ী ১৯১৪ সালে বোদা জগবন্ধু ঠাঁকুরবাড়ী মন্দিরটি নির্মান করে মূর্তিটি স্থাপন করা হয়।মন্দির সূত্রে প্রকাশ,১৯৬৯ সালে নির্মিত মূর্তিটি চুরি হয়ে যায়।দেশ বিভাগের রাজকোষ থেকে মন্দির সংস্কার ও পূজা অর্চনার যাবতীয় ব্যয় বহন করা হত।দেশ বিভাগের ৪১ বছর ও স্বাধীনতার (১৯৭১) পরবর্তী কালে মন্দির সংস্কারের ব্যবস্থা নেওয়া হলেও আধুনিকতার ছোয়া লাগেনি।মন্দির সংলগ্ন রয়েছে পূজা অর্চনা কারী পূরোহিতের বাসগৃহ সেটিও বাস অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। মহারাজার আমলে পূরোহিতের জীবণ যাত্রার ব্যয় ভার বহন করত রাজ কোষ থেকে। বর্তমানে মন্দিরটিতে দৈনন্দিন পূজা অর্চনার জন্য পূরোহিত রয়েছেন শ্রী বিশেশ্বর কুমার ভট্টাচার্য। দৈনন্দিন পূজা অর্চনা ছাড়া প্রতি বছর স্বারদীয় দূর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হয়। বর্তমানে হিন্দু ধর্মালম্বীরা প্রতি বছর দূর্গা পূজার সময় দূর্গা পূজার আয়োজন করে থাকে।আর এর ফাঁকে মন্দিরটির দর্শনার্থে দেশ বিদেশ হতে প্রতিনিয়ত দল দর্শন করে থাকেন। মন্দিরটি শতাব্দীর স্বাক্ষর বহন করে দেবীগঞ্জ নামের স্বার্থকতা বয়ে নিয়ে আসছে। মন্দির গৃহটির আশু ষংস্কার প্রয়োজন এছাড়াও ঠাকুর বাড়ী মন্দিরটি ঐতিহাসিক পূরাকীর্তির সংরক্ষন দপ্তরের নিকট সংস্কার ও সংরক্ষনের দাবি জানান।